Shibir Human Rights Reports 2014

AUGUST 2014


আগস্ট ২০১৪

মানুষের বাক স্বাধীনতা, চলাফেরার অধিকার, রাজনৈতিক সভা সমাবেশ করার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত বিষয়। স্বাধীন বাংলাদেশের গনতান্ত্রিক সরকারের আমলগুলোতে ও এই অধিকার গুলো সর্বদা লংঘন করা হয়েছে শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য । বর্তমানেও মানুষের মৌলিক মানবধিকার অহরহ লংঘন করা হচ্ছে। মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর কোন গ্যারান্টি নেই। প্রতিনিয়তই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হত্যা, গুম, অপহরন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও রাজনৈতিক সহিংসতার খবর আসছে। গত আগষ্ট মাসে সারাদেশে হত্যা, রাজনৈতিক সহিংসতা, খুন ও অপহরণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে এ মাসের বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল খুবই নাজুক। মানুষের মধ্যে সবর্দা আতংক বিরাজ করেছে । পুলিশ ও র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ, সন্ত্রাসীদের হামলায় খুন ও যেখানে সেখানে অজ্ঞাত লাশের সংখ্যাও আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির বাস্তব প্রতিফলন। গত আগষ্ট মাসে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিভাগ কর্তৃক দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে মাসিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এ মাসে সারা দেশে ৬৯৮ জন লোক হত্যার স্বীকার হয়েছে । যার মধ্যে ৫ টি হত্যা কান্ডে সরাসরি পুলিশ, র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জড়িত ছিল । আইনশৃংখলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেছে ২ জন আহত হয়েছে ১০ জন। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে ৩৬ টি এতে ২২ জন নিহত, আহত ১৫৯ এবং গুলিবিদ্ধ হয়েছে ২৫ জন।এছাড়া অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয়েছে ৩৬ জন আহত ৮৫ জন । গত মাসে রাজধানীতে বেসরকারী টিভি চ্যানেল এর উপস্থাপক মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে বাসায় ঢুকে সন্ত্রাসীরা জবাই করে হত্যা করে যার ক্লু পুলিশ এখনো বের করতে পারেনি। এছাড়া ২ দিনের ব্যবধানে অপর একটি বাসায় প্রকৌশলীসহ ৩ জনকে খুন করা হয়। বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ অজ্ঞাত পরিচয়ের ২৪ টি লাশ উদ্ধার করে। এ ছাড়া পারিবারিক, ব্যাবসায়ীক ও অন্যান্য কারনে নিহত হয় ৯৪ জন লোক। এ মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭ জন লোক খুন হয়েছে । এ মাসে ৩৭ টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে যাতে নিহত হয়েছে ৩ জন লোক এবং আহত হয়েছে ২৫২ জন, গুলিবিদ্ধ হয়েছে ২৫ জন । সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ৭টি এতে নিহত হয়েছে ২জন ,আহত হয় ৬ জন । এর অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারী দলের নেতকর্মী ও প্রভাবশালী মহল জড়িত ছিল । উপনির্বাচনে প্রশাসনের সহায়তায় সরকারী দলের নেতাকর্মীরা ভোট জালিয়াতির উৎসবে মেতে ওঠে। প্রতিপক্ষের উপর হামলা ও ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে মানুষের স্বাধীন ভোটাধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। নির্বাচন কেন্দ্রীক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ২টি যাতে আহত হয়েছে ১৫ জন লোক। যৌতুক, পরকীয়া ও প্রেমঘটিত কারনে নির্যাতনে নিহত হয়েছে ২২ জন নারী, নির্যাতিত হয়েছে ২৯ জন এবং ধর্ষনের স্বীকার হয়েছে ৪৫ জন নারী।

এ মাসে অপহরনের ১৯ টি ঘটনা সংঘটিত হয়, যার মধ্যে ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে জীবিত উদ্ধার হয়েছে ৭ জন ।

বি এস এফ এর গুলিতে সীমান্তে ৫ জন, ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক ৩ জন বাংলাদেশী নিহত হয় ও ৫ জন গুলবিদ্ধ হয়, আহত হয় ১৬ জন এবং বিএসএফ কর্তৃক আটক করা হয় ৬ জন বাংলাদেশীকে।

বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানী ও নির্যাতনের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের ১৬১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয় এ মাসে। বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচীতে প্রশাসনের নগ্ন হস্তক্ষেপের মাধ্যমে মত প্রকাশের সাংবিধানিক স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়েছে । এ মাসে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ১৩টি কর্মসূচীতে পুলিশের হামলা ও বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটে যাতে আহত হয় ৪ জন। এছাড়া সরকার দলীয় লোকজনের হামলায় ১৩ জন সাংবাদিক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে । আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে জনগনের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে যাবে। তাই ইসলামী ছাত্রাশিবিরের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিভাগের পক্ষ থেকে দেশের সকল সচেতন নাগরিক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও দেশি-বিদেশী মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে আরো সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

কেন্দীয় মানবাধিকার বিভাগ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির



JULY 2014


জুলাই ২০১৪

বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ । স্বাধীনতা অর্জনের পর হতে নানামুখী দূর্বলতা, রাজনৈতিক সংঘাত, মানবাধিকার লংঘন ইত্যাদি অনাকাংখিত ঘটনা আমাদের জাতিকে অনেক পেছনে নিয়ে গেছে।বর্তমানে স্বাধীন একটি রাষ্ট্র হওয়া সত্বেও বাংলাদেশে মানুষ যেন স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা পাচ্ছেনা । প্রতিনিয়ত্ই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হত্যা, গুম, অপহরন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও রাজনৈতিক সহিংসতার খবর আসছে। গত জুলাই মাসে সারাদেশে হত্যা, রাজনৈতিক সহিংসতা, গুম ও অপহরণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে এ মাসের বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল খুবই নাজুক । মানুষের মধ্যে সবর্দা গুম আতংক বিরাজ করেছে । পুলিশ ও র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ, ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা ও যেখানে সেখানে অজ্ঞাত লাশের সংখ্যাও আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির বাস্তব প্রতিফলন। গত জুলাই মাসে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিভাগ কর্তৃক দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে মাসিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এমাসে সারা দেশে ২১১জন লোক হত্যার স্বীকার হয়েছে । যার মধ্যে ২৬ টি হত্যা কান্ডে সরাসরি পুলিশ, র্যা ব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জড়িত ছিল । আইনশৃংখলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেছে ১ জন আহত হয়েছে ১ জন। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে ৫৩ টি যাতে অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে শুধুমাত্র অজ্ঞাত ২৩ জন মহিলারই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।। এ ছাড়া পারিবারিক, ব্যাবসায়ীক ও অন্যান্য কারনে নিহত হয় ৩৪ জন লোক। এ মাসে প্রতিদিন গড়ে ৭ জন লোক খুন হয়েছে। অন্যদিকে এ মাসে ৩৫ টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে যাতে নিহত হয়েছে ১৪ জন লোক এবং আহত হয়েছে ১৪৭ জন, গুলিবিদ্ধ হয়েছে ১২ জন, আটক হয়েছে ১৭ জন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ৭ টি এতে নিহত হয়েছে ৪ জন এবং এসব ঘটনায় ২৫ জন লোক আহত হয়। এর অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারী দলের নেতকর্মী ও প্রভাবশালী মহল জড়িত ছিল । যৌতুক, পরকীয়া ও প্রেমঘটিত কারনে নির্যাতনে নিহত হয়েছে ৮ জন নারী, নির্যাতিত হয়েছে ১৩ জন এবং ধর্ষনের স্বীকার হয়েছে ১৪ জন নারী যার মধ্যে দুইজনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া ১৫ জন শিশু ধর্ষনের শিকার হয়েছে যাদের মধ্যে ৯ জনই মারা গেছে। এ মাসে অপহরনের ৯ টি ঘটনা সংঘটিত হয়, যার মধ্যে ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে জীবিত উদ্ধার হয়েছে ৩ জন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে র্যা ব ও ডিবি পরিচয়ে এ সকল অপহরনের ঘটনা ঘটে।

বি এস এফ এর গুলিতে সীমান্তে ১ জন নিহত হয় ও ৭ জন গুলবিদ্ধ হয় ।


বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানী ও নির্যাতনের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের অন্তত ১০০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয় এ মাসে। বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচীতে প্রশাসনের নগ্ন হস্তক্ষেপের মাধ্যমে মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে । এ মাসে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ১১ টি কর্মসূচীতে পুলিশের হামলা ও বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটে যাতে আহত হয় ৭ জন। এছাড়া সরকার দলীয় লোকজনের হামলায় ২ সাংবাদিকসহ ২৫ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।পুলিশ শ্রমিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ৫ টি এতে ১০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে জনগনের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে যাবে। তাই ইসলামী ছাত্রাশিবিরের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিভাগের পক্ষ থেকে দেশের সকল সচেতন নাগরিক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ ও দেশি-বিদেশী মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে দেশের ক্রমঅবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে আরো সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিভাগ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির

JUNE 2014


জুন ২০১৪

সংবিধান অনুযায়ী দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের যে মৌলিক অধিকার রয়েছে তার বাস্তব প্রতিফলন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছেনা । এর অন্যতম কারণ দেশে আইনের শাসন যথাযথ না থাকা । সরকারী দলের নেতাকর্মীদের দৌরাত্ব, দূর্নীতীপরায়ণ আমলাতন্ত্র, অপেশাদার প্রশাসন ব্যবস্থা, হলুদ সাংবাদিকতার জয়গান, রাজনৈতিক নেতাদের মিথ্যাচার আমাদের দেশকে যেন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে । আমাদের দেশে শান্তিতে বসবাস যেন স্বপ্ন দেখার মত। কারণ প্রতিনিয়তই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হত্যা, গুম, অপহরন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও রাজনৈতিক সহিংসতার খবর আসছে। গত জুন মাসে সারাদেশে হত্যা, রাজনৈতিক সহিংসতা, গুম ও অপহরণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে এ মাসের বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল খুবই নাজুক । মানুষের মধ্যে সবর্দা গুম আতংক বিরাজ করেছে । পুলিশ ও র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ, ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা ও যেখানে সেখানে অজ্ঞাত লাশের সংখ্যাও আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির বাস্তব প্রতিফলন। গত জুন মাসে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিভাগ কর্তৃক দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে মাসিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে । যা নিম্নে তুলে ধরা হল,

এমাসে সারা দেশে ২৯২ জন লোক হত্যার স্বীকার হয়েছে । বিচার বর্হিভূত হত্যাকান্ড ঘটেছে ৮ টি যার মধ্যে ৪ টি হত্যাকান্ডে সরাসরি পুলিশ, র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জড়িত ছিল । আইনশৃংখলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেছে ৪ জন আহত হয়েছে ৫ জন । সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে ৪৬ টি এত ৮ জন নিহত হয়েছে । এছাড়া অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের হামলার ঘটনা ৪৩ টি, নিহত হয়েছে ৪০ জন, আহত ৪১ , গুলিবিদ্ধ হয়েছে ২ জন । বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ টি অজ্ঞাত পরিচয়ের ৪৯ লাশ উদ্ধার করে। এ ছাড়া পারিবারিক, ব্যাবসায়ীক ও অন্যান্য কারনে নিহত হয় ৩৭ জন লোক। এ মাসে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ জন লোক খুন হয়েছে । এ মাসে ৩৮ টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে যাতে নিহত হয়েছে ২৫ জন লোক এবং আহত হয়েছে ৫৪ জন, আটক হয়েছে ২৬ জন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ৬ টি এতে নিহত হয়েছে ১২জন এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ২টি উপাসনালয়ে এসব ঘটনায় ২৫ জন লোক আহত হয় । কালসীর বিহারী পল্লীতে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিহারী পল্লীতে অগ্নিসংযোগ এবং ১০ জন লোক নিহত হওয়ার ঘটনা গোটা জাতির বিবেককে নাড়া দিয়েছে, যাতে স্থানীয় সরকারী দলের নেতকর্মী ও প্রভাবশালী মহল জড়িত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। 

উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসনের সহায়তায় সরকারী দলের নেতাকর্মীরা ভোট জালিয়াতির উৎসবে মেতে ওঠে। প্রতিপক্ষের উপর হামলা ও ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে মানুষের স্বাধীন ভোটাধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। নির্বাচনী সহিংসতায় এ মাসে প্রান হারিয়েছে ১ জন আহত হয়েছে ৫০ জন যার মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছে ৩০ জন।

যৌতুক, পরকীয়া ও প্রেমঘটিত কারনে নির্যাতনে নিহত হয়েছে ২৪ জন নারী । এর মধ্যে নির্যাতিত হয়েছে ৪ জন এবং ধর্ষনের স্বীকার হয়েছে ১২ জন নারী । যৌতুকের দায়ে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ১০ টি যাতে নিহত হয়েছে ৮ জন, আহত হয়েছে ২ জন নারী। এছাড়া অজ্ঞাত পরিচয়ের ৮ জন নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে । আত্নহত্যা করেছে ১৬ জন নারী । পুরুষ মানুষ আত্নহত্যা করেছে ১১ জন এছাড়া ৫ জন শিশু ও আত্নহত্যা স্বীকার হয়েছে । যা আমাদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।

এ মাসে অপহরনের ৪৯ টি ঘটনা সংঘটিত হয়, যার মধ্যে ২১ জনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে জীবিত উদ্ধার হয়েছে ১৩ জন নিখোজ রয়েছে ১৫ জন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে র‌্যাব ও ডিবি পরিচয়ে এ সকল অপহরনের ঘটনা ঘটে। বি এস এফ এর গুলিতে সীমান্তে ৪ জন নিহত হয়, আহত ১ জন এবং বিএসএফ কর্তৃক আটক করা হয় ৭ জন বাংলাদেশীকে।

বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানী ও নির্যাতনের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের ১৭৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয় এ মাসে। 

বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচীতে প্রশাসনের নগ্ন হস্তক্ষেপের মাধ্যমে মত প্রকাশের সাংবিধানিক স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়েছে । এ মাসে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ৯ টি কর্মসূচীতে পুলিশের হামলা ও বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটে যাতে আহত হয় অনেকেই। এছাড়া সরকার দলীয় লোকজনের হামলায় ২ সাংবাদিক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ শ্রমিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ১ টি এতে ১ জন আহত হয়েছে এছাড়া কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিহত হয়েছে ১ জন। এছাড়া মানব পাচারের মত জঘন্য ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫ জন।

আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে জনগনের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে যাবে। তাই ইসলামী ছাত্রাশিবিরের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিভাগের পক্ষ থেকে দেশের সকল সচেতন নাগরিক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ ও দেশি-বিদেশী মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে আরো সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিভাগ
বাংলাদেশ ইসলামী ছত্রশিবির

MAY 2014


মে-২০১৪

বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম একটি দেশ । স্বাধীনতা অর্জনের পর হতে নানামুখী দূর্বলতা, রাজনৈতিক সংঘাত, মানবাধিকার লংঘন ইত্যাদি অনাকাংখিত ঘটনা আমাদের জাতিকে অনেক পেছনে নিয়ে গেছে।বর্তমানে স্বাধীন একটি রাষ্ট্র হওয়া সত্বেও বাংলাদেশে মানুষ যেন স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা পাচ্ছেনা । প্রতিনিয়ত্ই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হত্যা, গুম, অপহরন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও রাজনৈতিক সহিংসতার খবর আসছে। গত মে মাসে সারাদেশে হত্যা, রাজনৈতিক সহিংসতা, গুম ও অপহরণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে এ মাসের বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল খুবই নাজুক । মানুষের মধ্যে সবর্দা গুম আতংক বিরাজ করেছে । পুলিশ ও র্যা ব পরিচয়ে অপহরণ, ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা ও যেখানে সেখানে অজ্ঞাত লাশের সংখ্যাও আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির বাস্তব প্রতিফলন। গত মে মাসে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিভাগ কর্তৃক দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে মাসিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এমাসে সারা দেশে ৩০৭ জন লোক হত্যার স্বীকার হয়েছে । যার মধ্যে ১৭ টি হত্যা কান্ডে সরাসরি পুলিশ, র্যা ব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জড়িত ছিল । আইনশৃংখলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেছে ৫ জন আহত হয়েছে ১৫ জন।সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে ১০ টি এত ১২ জন নিহত হয়েছে।এছাড়া অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয়েছে ১৯ জন আহত হয়েছে ৪ জন। বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ ১৫ টি অজ্ঞাত পরিচয়ের লাশ উদ্ধার করে। এ ছাড়া পারিবারিক, ব্যাবসায়ীক ও অন্যান্য কারনে নিহত হয় ৯১ জন লোক। এ মাসে প্রতিদিন গড়ে ১০ জন লোক খুন হয়েছে । এ মাসে ৩২ টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে যাতে নিহত হয়েছে ৭ জন লোক এবং আহত হয়েছে ১৪০জন, গুলিবিদ্ধ হয়েছে ৬ জন, আটক হয়েছে ৬২ জন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ৫টি এতে নিহত হয়েছে ২জন এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ২টি উপাসনালয়ে এসব ঘটনায় ২৫ জন লোক আহত হয়। এর অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারী দলের নেতকর্মী ও প্রভাবশালী মহল জড়িত ছিল । উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসনের সহায়তায় সরকারী দলের নেতাকর্মীরা ভোট জালিয়াতির উৎসবে মেতে ওঠে। প্রতিপক্ষের উপর হামলা ও ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে মানুষের স্বাধীন ভোটাধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। নির্বাচন কেন্দ্রীক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ৪০টি যাতে আহত হয়েছে ৬৯ জন লোক। যৌতুক, পরকীয়া ও প্রেমঘটিত কারনে নির্যাতনে নিহত হয়েছে ১৪ জন নারী, নির্যাতিত হয়েছে ১৪ জন এবং ধর্ষনের স্বীকার হয়েছে ১০ জন নারী।

এ মাসে অপহরনের ৩৪ টি ঘটনা সংঘটিত হয়, যার মধ্যে ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে জীবিত উদ্ধার হয়েছে ৫জন নিখোজ রয়েছে ২২ জন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে র্যা ব ও ডিবি পরিচয়ে এ সকল অপহরনের ঘটনা ঘটে।

বি এস এফ এর গুলিতে সীমান্তে ৫জন এবং মিয়ানমার বাহিনী কর্তৃক ১ জন বিজিবি সদস্য নিহত হয় ও ৪ জন গুলবিদ্ধ হয় এবং বিএসএফ কর্তৃক আটক করা হয় ২ জন বাংলাদেশীকে।

বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানী ও নির্যাতনের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের ৩৮ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয় এ মাসে। বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচীতে প্রশাসনের নগ্ন হস্তক্ষেপের মাধ্যমে মত প্রকাশের সাংবিধানিক স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়েছে । এ মাসে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ৬টি কর্মসূচীতে পুলিশের হামলা ও বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটে যাতে আহত হয় ৪ জন। এছাড়া সরকার দলীয় লোকজনের হামলায় ২ সাংবাদিক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।পুলিশ শ্রমিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ১ টি এতে ৩০ জন আহত হয়েছে এছাড়া কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিহত হয়েছে ৫ জন।

আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে জনগনের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে যাবে। তাই ইসলামী ছাত্রাশিবিরের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিভাগের পক্ষ থেকে দেশের সকল সচেতন নাগরিক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ ও দেশি-বিদেশী মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে আরো সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিভাগ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির



APRIL 2014


এপ্রিল-২০১৪

বাংলাদেশ স্বাধীন একটি রাষ্ট্র হওয়া সত্বেও মানুষ যেন স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা পাচ্ছেনা । প্রতিনিয়ত্ই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হত্যা, গুম, অপহরন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ও রাজনৈতিক সহিংসতার খবর আসছে। গত এপ্রিল মাসে সারাদেশে হত্যা, রাজনৈতিক সহিংসতা, গুম ও অপহরণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে মাসের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল খুবই নাজুক । মানুষের মধ্যে সবর্দা গুম আতংক বিরাজ করেছে । পুলিশ ও র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ, ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা ও যেখানে সেখানে অজ্ঞাত লাশের সংখ্যা ও আশংকাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির বাস্তব প্রতিফলন। গত এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিভাগ কর্তৃক দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে মাসিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এমাসে সারা দেশে ২৪৪ জন লোক হত্যার স্বীকার হয়েছে। যার মধ্যে ২৫ টি হত্যা কান্ডে সরাসরি পুলিশ, র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জড়িত ছিল। বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ ১৬ টি অজ্ঞাত পরিচয় লাশ উদ্ধার করে। এ ছাড়া পারিবারিক, ব্যাবসায়ীক ও অন্যান্য কারনে নিহত হয় ৬৬ জন লোক। এ মাসে প্রতিদিন গড়ে ৮ জনের বেশি লোক খুন হয়েছে । এ মাসে ২৫ টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে যাতে নিহত হয়েছে ১৮ জন লোক এবং আহত হয়েছে ২১৪জন। হিন্দুসম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ২ টি এবং এসকল ঘটনায় ১৯ জন লোক আহত হয়। এছাড়া তাদের ২ টি ধর্মীয় উপাসনালয় ও ৩০ টি ঘর-বাড়িতে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এর অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারী দলের নেতকর্মী ও প্রভাবশালী মহলজড়িতছিল।উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসনের সহায়তায় সরকারী দলের নেতাকর্মীরা ভোট জালিয়াতির উৎসবে মেতে ওঠে। প্রতিপক্ষের উপর হামলা ও ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে মানুষের স্বাধীন ভোটাধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। নির্বাচনী সহিংসতায় প্রান হারিয়েছে ১ জন । নির্বাচন কেন্দ্রীক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে ১৫০টি যাতে আহত হয়েছে ৩৬০ জন লোক, গুলিবিদ্ধ হয়েছে ১৫ জন। যৌতুক, পরকীয়া ও প্রেমঘটিত কারনে নির্যাতনে নিহত হয়েছে ১৬ জন নারী, নির্যাতিত হয়েছে ২৩ জন এবং ধর্ষনের স্বীকার হয়েছে ৮ জন নারী।

এ মাসে অপহরনের ১৬টি ঘটনা সংঘটিত হয় । এতে ২০ জন লোক নিহত হয় যার মধ্যে ১৬ জনের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে জীবিত উদ্ধার হয়েছে ৬ জন নিখোজ রয়েছে ৭ জন। যাদের মধ্যে নারায়নগঞ্জ মহানগরীর প্যানেল মেয়র নজরুল সহ ৭ জনের লাশ শীতলক্ষা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে । বেশিরভাগ ক্ষেত্রে র‌্যাব ও ডিবি পরিচয়ে এ সকল অপহরনের ঘটনা ঘটে।

বি এস এফ এর গুলিতে সীমান্তে ৩জন এবং ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক ৩ জন বাংলাদেশী নিহত হয় ও ২ জন গুলবিদ্ধ হয় এবং আটক করা হয় ১ জন বাংলাদেশীকে।

বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হয়রানী ও নির্যাতনের অংশ হিসেবে বিরোধী দলের ১৩১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয় এ মাসে।
বিরোধী রাজনৈতিক কর্মসূচীতে প্রশাসনের নগ্ন হস্তক্ষেপের মাধ্যমে মত প্রকাশের সাংবিধানিক স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়েছে ।এ মাসে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ৫৩টি কর্মসূচীতে পুলিশের হামলা ও বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটে যাতে আহত হয় ৪২ জন।

এছাড়া সরকার দলীয় লোকজনের হামলায় ১ জন সাংবাদিক হত্যা ও সংবাদ সংগ্রহকালে ৫০জন সাংবাদিক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে জনগনের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতে না পারলে দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে যাবে। তাই ইসলামী ছাত্রাশিবিরের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিভাগের পক্ষ থেকে দেশের সকল সচেতন নাগরিক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ ও দেশি-বিদেশী মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে আরো সোচ্চার হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিভাগ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির


MARCH 2014


Summary report for human rights violations compiled by Human Rights Division, Bangladesh Islami Chatra Shibir for the month of March, 2014.